টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি জবের স্কোপ গুলি জেনে নিন

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে সরকারি চাকরির (Related) সুযোগ:

প্রথমেই বলতে চাই লেখাটি টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট/ হবু গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। আমরা জানি যে দেশের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা (৮০% এর বেশি) তৈরি পোশাক খাত থেকে অর্জিত হয়। সে হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান অনেক। আমি তোমাদের ধন্যবাদ দিতে চাই যারা নিজেদের মেধা আর অক্লান্ত শ্রম দিয়ে এ বৃহৎ ও মহৎ কাজে নিজেদের শামিল করতে পেরেছ বা এ জন্য নিজেকে তৈরি করছ। অন্যদিকে দেশের মানুষের সেবা করার জন্য সরকারি চাকরি একটি সর্বোত্তম পেশা হতে পারে। হয়ত তোমরা ভাবছো যে, সরকারি চাকরিতে তো দুর্নীতি হয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কি সরকারি চাকরি পাওয়া সম্ভব… আমার দ্বারা হবে না ……ইতাদি।

ঘুষ দিয়ে চাকরি হয় কিনা আমি জানি না, তবে এটা জানি যে শত শত বেকারের টাকা ছাড়া চাকরি হচ্ছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা অনেকেই সরকারি চাকরি করছেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য যেটি বেশি দরকার তা হলো ইচ্ছাশক্তি আর ধৈর্য। আজকে আমি তোমাদের বলবো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করে তোমরা কি কি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ আছে। আমি এ বিষয়ে একটি লিস্ট তৈরি করেছি…

১. বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ( যারা একদম প্রথম শ্রেনীর স্টুডেন্ট, তাদের জন্য)

২. বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সিটিউট

৩. বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন

৪. বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন

৫. বস্ত্র পরিদপ্তর

৬. পাট অধিদপ্তর

৭. বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড

৮. বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন

৯. বিভিন্ন ব্যাংক (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, টেক্সটাইল)

১০. বাংলাদেশ নৌবাহিনী

১১. জুট ডাইভারসিফিকেশন এন্ড প্রমোশন সেন্টার

১২. তুলা উন্নয়ন বোর্ড

১৩. কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর

১৪. অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়

১৫. বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড

১৬. সরকারি টেক্সটাইল কলেজ এবং আমার অজানা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান।

আজ এ পর্যন্তই। সময়ের অভাবে আর লিখতে পারলাম না। আরেকদিন কথা হবে কিভাবে নিজেকে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুত করবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।

রিক্স ম্যানেজমেন্ট Risk Management

রিক্স ম্যানেজমেন্ট Risk Management এর বিস্তারিত বর্ণনা, উদ্ধারকারী দলের দয়িত্ব ও কর্তব্য
রিক্স ম্যানেজমেন্ট

ভূমিকা ঃ
অটো কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র একটি মূখ্য বিষয়, যা রক্ষা করার জন্য কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে অটো কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য, নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রনয়ণ,  কমিটি গঠন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন যা কারখানার অভ্যন্তরীন কর্ম পরিবেশ ও কারখানার অভ্যন্তরে কর্মরত সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও মালমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

উদ্দেশ্য ঃ
শিল্প কারখানার কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জরংশ রয়েছে। আর এই সকল জরংশ সমূহ পর্যালোচনা করে যাতে কর্মক্ষেত্রে একটি নিরাপদ ও সুন্দর স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করাই এই নীতির প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য অটো কম্পোজিট লিঃ নিুোক্ত পদক্ষেপ সমূহ গ্রহন করেছে ঃ
রিক্স ম্যানেজমেন্ট এর পদক্ষেপ সমূহ ঃ
• প্রতিটি শ্রমিক/ কর্মচারী/কর্মকর্তা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একজন হেলথ ও সেফটি অফিসার নিয়োগ প্রদান।
• জরংশ অংংবংংসবহঃ করার জন্য প্রতি বিভাগ এর সমন্বয়ে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন।
• কমিটির সদস্যগণ দ্বারা কারখানার সকল স্থান সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ জরংশ চিহ্নিত করন।
• চিহ্নিত জরংশ সমূহ কমিটিতে আলোচনা / পর্যালোচনা করে তার প্রতিকার এর ব্যবস্থা করন এবং প্রতিকার বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা তা আবার সরেজমিনে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পেশ করন।
• প্রতি মাসে এই জরংশ কমিটির সাধারণ সভা আহ্বান হয়।

মাসিক সভা ঃ
কমিটি প্রতি মাসে কমিটি প্রধানের নেতৃত্বে একবার তাদের একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার যে সকল চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে তার উপর বিশদ আলোচনা করবে। ঐ সভা থেকেই তার প্রতিকারের ব্যবস্থা সমূহ সুপারিশ করা হবে। সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়ন করার জন্য নিদিষ্ট সময়সীমার নির্ধারন করা হবে। এ ক্ষেত্রে এই সময়সীমা নির্ভর করে জরংশ এর প্রকারভেদে। কোন কোন প্রতিকার তাৎক্ষনিক হতে পারে, কোন কোন প্রতিকার স্বল্প মেয়াদী হতে পারে, কোন কোন প্রতিকার দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে।
প্রকারভেদে প্রয়োজনে এই কমিটি কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথেও যোগাযোগ করতে পারে। এই কমিটি তাদের মাসিক প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন এর নিকট পেশ করে।
অতঃপর কর্তৃপক্ষ প্রতিকার সমূহ বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, বিশেষ কোন প্রয়োজনে এই কমিটি তাৎক্ষনিক নোটিশের মাধ্যমে জরুরী সভা করতে পারে।
নিুে বিভিন্ন ধরনের জরংশ সম্পর্কে আলোচনা ও কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিৎ তা বর্ণনা করা হলো ঃ
আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি (পি পি ই) সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা ঃ
কারখানায় কর্মরত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনানুসারে আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি (আই গার্ড, পুলী গার্ড, নিডেল গার্ড, মেটাল হ্যান্ড গ্লোবস, রাবার হ্যান্ড গ্লাবস্, মাক্স, ক্যাপ, হেলমেট, গ্যাস মাক্স, রেসপাইওরেটরী মাক্স, আয়রন সু, এয়ার প্লাগ, রাবার ম্যাট, গগলস, গাম বুট, প্রোন ) সরবরাহ করেছেন।
নতুন সংযোজন কিংবা পরিবর্তনের জন্য কারখানয় নিযুক্ত ওয়েলফেয়ার অফিসার প্রতি মাসে একবার প্রতি সেকশনে গিয়ে আতœরক্ষাকারী সরঞ্জামাদি (পিপিই)সমূহ এ্যাসেসম্যান্ট ও ইনভেনটরী করে থাকেন।
আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার সম্পর্কিত উপর প্রতি মাসে একবার আলোচনা সভা প্রশিক্ষন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত যা কমপ্লায়েন্স বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত।
রাত্রিকালীন কোন দূর্ঘটনা ঃ
• রাত্রীকালীন কোন দূর্ঘটনা ঘটলে যাতে সহজেই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে সেজন্য একজন দায়িত্ববান ব্যক্তিকে নিশ্চিত করা।
• প্রয়োজনে উধর্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সাথে সংবাদ দেয়া।
• প্রয়োজনীয় জরুরী টেলিফোন নাম্বার সমূহ সুবিধাজনক কোন স্থানে লাগিয়ে রাখা।
• দূর্ঘটনায় আহত কাউকে দ্রুত সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য রাত্রিকালে কোম্পানীর একটি গাড়ী কারখানার অভ্যন্তরে রেখে দেওয়া।
বিশুদ্ধ খাবার পানি ঃ
পানির অপর নাম জীবন। এই পানি যদি বিশুদ্ধ না হয় তবে পানি বাহিত রোগে শ্রমিকগণ আক্রান্ত হতে পারে। আর এই চিন্তা মাথায় রেখে অটো কম্পোজিট লিঃ শ্রমিকদের বিশুদ্ধ সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে যা থেকে  পরিক্ষিত। প্রতিটি সেকশনে শ্রমিক সংখ্যার সাথে সামাঞ্জস্য রেখে বিশুদ্ধ খাবারের পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি ফ্লোরে নির্ধারিত সংখ্যক ডধঃবৎ ঋরষঃবৎ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টয়লেট ঃ
প্রতিটি ফ্লোরে আইনের বিধান মোতাবেক প্রয়োজনীয় সংখ্যক টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। টয়লেট থেকে জীবানু যাতে বাহিরে বের হয়ে আসতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা আছে। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় নির্ধারিত লোক টয়লেট পরিষ্কার করে থাকে। টয়লেটের বর্জ্য এখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে ফেলা হয়। যাহাতে ঐসব বর্জ্য থেকে কোন ক্ষতিকর কিছু না হয়।
মেডিক্যাল সার্ভিস ঃ
প্রতিটি শ্রমিকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই কারখানা চলাকালীণ সময়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা ঘন্টা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে আমাদের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং প্রয়োজনে নিকস্থ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সচরাচর ঘটে যাওয়া সাধারণ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ প্রাথমিক চিকিৎসক রয়েছেন যাদের কে নিকস্থ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার উপর টেনিং করানো হয়েছে। এই অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ  অরফ বক্স্রের দায়িত্বে আছেন।
শুধু তাই নয় এই প্রতিষ্ঠানের চীফ মেডিক্যাল অফিসার এইডস্, হেপাটাইটিস ডি ও অন্যান্য সংক্রমন ব্যধির উপর কর্মশালার আয়োজন করে থাকেন যাতে উচ্চ শিক্ষা বঞ্চিত, এই সকল সাধারন শ্রমিকগণ তাদের ব্যক্তি জীবনে সাবধানতাা অবলম্বন করতে পারেন। তাদের সন্তানদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারেন।
এছাড়াও ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনা ও পরিলক্ষিত রোগব্যাধি পর্যালোচনা পূর্বক সচেতনতা ও প্রশিক্ষমূলক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
রিক্স ম্যানেজমেন্ট এর ইলেকট্রিক্যাল বৈদ্যুতিক/ ইলেকট্রিক তার ব্যবহার
প্রতিটি শ্রমিক যেখানে কাজ করে সেখানে বিদ্যুতের যথেষ্ট ব্যবহার হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে, বিদ্যুতের তার অনেক সময় মেশিনের সাথে ফ্লোরে পরে থাকে এর ফলে যদি কখনও সে তার ছিড়ে যায় এবং কোন শ্রমিক অসাবধনতাবশত ঃ পা/হাত দেয় তাহলে বিদ্যুতাড়িত হয়ে সে শ্রমিক মারাত্মক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে এমনকি তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই কোথাও যাতে কোন ধরনের খোলা বিদ্যুতের তার না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে, হোল্ডারে সরাসরি তার ঢুকিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কাজ করে যা মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ। তাই কোন অবস্থাতেই এই ধরনের কাজ করতে দেখা যাবে না।
এছাড়া অনেক সময় নির্ধারিত লোডের অতিরিক্ত লোড ব্যবহার করা হয় যার ফলে অনেক সময় মারাত্মক অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কার্টুন ঃ অনেক সময় দেখা যায় যে, ঊসঃু কার্টুন / ভর্তি গুলো কার্টুন অতিরিক্ত উচ্চতায় রাখা হয়। এর ফলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই কার্টুন সব সময় একটি স্বাভাবিক উচ্চতায় রাখা বাঞ্চনীয়।

কেমিক্যাল ঃ সব ধরনের কেমিক্যালই দাহ্য বস্তু এবং ক্ষতিকারক। তাই কেমিক্যাল ব্যবহার করার সময় সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি কেমিক্যাল এর গঝউঝ থাকতে হবে। “ক্ষতিকারক” ও “অক্ষতিকারক” এই দুইভাগে কেমিক্যাল ভাগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিডিল গার্ড, পুলি কভার, আই গার্ড ঃ নিডিল গার্ড, পুলি গার্ড, আই গার্ড যে মেশিনে যে ধরনের সেফটি গার্ড থাকা দরকার যা থাকতে হবে নতুবা যেকোন সময় যেকোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন / ভার উত্তোলন ঃ অতিরিক্ত ভার উত্তোলনের যেকোন সময় যেকোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অতিরিক্ত ভার উক্তোলন না করে বিকল্প পন্থায় ভার উত্তোলন করাই শ্রেয়।

শব্দ দূষন ঃ জেনারেটর , সার্কুলার নিটিং ও এমব্রয়ডারী ইত্যাদি মেশিন অধিক শব্দ তৈরী করে যা কর্ম পরিবেশকে শব্দ দূষন করে। উক্ত মেশিনের কাছাকাছি কর্মরত সকলকে ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
পানি দূষন ঃ ওয়াশিং ও ডাইং মেশিন ব্যবহারের ফলে দূষিত পানি নির্গত হয় যা পরিবেশ দূষন করে। এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন দূষিত পানি দ্বারা পরিশোধিত যেন দূষিত না হয় এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়।

বায়ূ দূষন ঃ জেনারেটর, বয়লার, এসি, হইতে নির্গত ধোয়াঁ, ওয়াশিং ও ডাইং মেশিন ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট বর্জ পরিবেশ দূষন করে। বায়ু দূষন যাতে না হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়।

অগ্নি দুর্ঘটনা ঃ কারখানার অগ্নি দুর্ঘটনা কোন ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা নহে। কাজেই কারখানার অগ্নি দুর্ঘটনা রোদকল্পে বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এই গুলি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। অগ্নি দূর্ঘটনা রোধে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। যথা ঃ
• যে সকল কারনে সাধারনত অগ্নিকান্ড ঘটে থাকে সে সকল বিষয়ে আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
• পর্যাপ্ত পরিমান সচল অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র, হোস পাইপ, লক কাটার, মাস্ক, ট্রেজার, রিজার্ভ পানির ট্যাংক, প্রশিক্ষিত অগ্নি নির্বাপন কর্মীর ব্যবস্থা করা।
• দিয়াশলাই / লাইটার নিয়ে কারখানায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
• ধুমপান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা।
• বহিঃ নির্গমনীয় পথ সমূহ সব সময় পরিষ্কার রাখা।
ইহা ছাড়া আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সকলে যাতে নিরাপদে বের হতে পারে, সেই জন্য প্রতিষ্ঠানটির বর্হিগমন পথে জরুরী বর্হিগমন নির্দেশনা ও জরুরী বহিগর্মন প্লান  স্থাপন করা আছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে নিম্নোক্ত নম্বরে জরুরী ভাবে যোগাযোগ করতে হবে কে কোন পথে বাহির হইবে সেই জন্য সকলকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। কাজেই, অগ্নি সংকেতের সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে জরুরী বর্হিগমন প্লান অনুসারে যাতে সকলে নিরাপদে স্বল্প সময়ের মধ্যে বের হতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্যাক্টরীতে ফায়ার ফাইটিং এর জন্য কমিটি / দল গঠন করা হয়েছে যার বর্ননা নিম্নে প্রদত্ত হল ঃ
• ফায়ার ফাইটিং দল
• উদ্ধারকারী দল / কর্ডন পার্টি
• ফাষ্ট এইড টিম
• ফায়ার ফাইটিং দলের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
1. আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিশিয়ান/অগ্নি নির্বাপক দলের দলনেতা/ফ্লেরে উপস্থিত নিকটতম ফায়ার ফাইটার অথবা সর্ব নিকটতম ব্যক্তি বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করবে।
2. আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ফাইটিং পার্টির প্রত্যেকে দ্রুত তাদের জন্য নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের কাছে চলে যাবে ও যন্ত্র নামিয়ে নেবে এবং একত্রিত হয়ে আগুন কোথায় লেগেছে তা জানার চেষ্টা বা পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবে। তবে যদি নিজ ফ্লোরে আগুন লাগে তাহলে দ্রুত আগুনের কাছে যাবে এবং আগুনের দিকে তাক করে বাতাসের প্রতিকুলে অবস্থান গ্রহন করে নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে।
3. ফায়ার ফাইটাররা কে কোনটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তা পূর্বেই নির্ধারিত থাকবে।
4. ফায়ার ফাইটাররা কারখানার হোস পাইপের সাহায্যে, প্রয়োজনে খাওয়ার পানির ড্রামের, বাথরুমে রক্ষিত ড্রামের, যদি বয়লার থাকে তবে সেখানে রক্ষিত ড্রামের পানি দ্বারা আগুন নিভানোর চেষ্টা করবে।
5. বৈদ্যুতিক আগুন নিভাতে শুধুমাত্র কার্বন ডাই অক্সাইড অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে।
6. ফায়ার ব্রিগেড দল আসলে তদেরকে সর্বোতভাবে সাহায্য সহযোগীতা করবে।
7. দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
8. কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের জন্য প্রস্তুত থাকবে। বিশেষ জরুরী অবস্থা ছাড়া ফ্লোর ত্যগ করবে না।
উদ্ধারকারী দলের দয়িত্ব ও কর্তব্য ঃ
• ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী ১ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে দ্রুততার সাথে সবাইকে নিরাপদে বাহিরে যেতে সহযোগিতা করবে। পূর্ব থেকে কে কোথায় দাড়িয়ে লোকজন নামাতে সহযোগিতা করবে তা নির্ধারিত থাকবে।
• বাথরুমে বা অন্য কোথাও কেহ আটকা পড়ল কিনা তা মহিলা বাথরুমে মহিলা এবং পুরুষ বাথরুমে পুরুষ কর্মীগণ খোঁজ করবে।
• কেহ আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বা তাদেরকে দ্রুত ফাষ্ট এইড টিম এর কাছে নিবে এবং কাউকে এম আই রুমে নেওয়ার প্রয়োজন হলে কাঁেধ করে অথবা প্রয়োজনে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাবে।
• আগুন যেখানে লেগেছে তার চারপাশ থেকে মালপত্র বা মেশিনপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবে।
ফার্ষ্ট এইড টিম এর দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ
• আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দ্রুত ফার্ষ্ট এইড বক্সের কাছে গিয়ে নিরাপদ অবস্থান নিবে।
• আহত বা অসুস্থ রোগীকে দ্রুততার সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
• প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ার মত অবস্থা হলে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদেরকে দিয়ে দ্রুত এম আই রুমে প্রেরণ করবে।
• কেবল মাত্র জরুরী অবস্থা ছাড়া, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিরেকে স্থান ত্যাগ করবেনা।
কর্ডন পার্টির দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
• আগুন লাগার সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে নিকটতম ফায়ার অফিস, শাখা অফিস, প্রধান অফিসকে অবহিত করতে থাকবে।
• অগ্নি দুর্ঘটনা বা আপদকালীন সময় ইউনিট/সেকশনের প্রধান প্রবেশ পথ সমুহকে বেষ্টনী করে রাখতে হবে যাতে ফ্যাক্টরীর বাহিরের কোন অপরিচিত কোন ব্যক্তিবর্গ ইউনিট/সেকশনে প্রবেশ করতে না পারে।
• অগ্নিনির্বাপনের জন্য ফায়ার সার্ভিস টীম যাতে ইউনিট/সেকশনে সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং অগ্নি নির্বাপনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনায় কোন প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
• নিকটতম পানির উৎস কোথায় তা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অবহিত করবে এবং যাবতীয় সাহায্য সহযোগীতা করবে।

ভুমিকম্প ঃ
অনুভূত হইলে হইলে সাথে সাথে সাইরেন বাজাতে হবে এবং অনুসারে কারখানার সকল লোক স্বল্পতম সময়ে বাহিরে নিরাপদ স্থানে চলে আসবে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিটের জন্য উদ্ধারকারী দল কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে কাজ করবে। যদি ভূ-কম্পের মাত্রা বেশী থাকে এবং এর ফলে দালান কোটা ভেঙ্গে ভিতরে লোকজন আটকা পড়ে সেই ক্ষেত্রে ফায়ার ব্রিগেড ও বাহিরের অন্যান্য উদ্ধারকারী দলকে সাহায্য সহযোগিতা করবে।

বন্যা ঃ
বাংলাদেশের একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। কখন কোথায় কোন এলাকা বন্যা কবলিত হবে তা বলা মুশকিল। তাই বন্যা কবলিত অথবা বন্যাত্তোর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যেগ গ্রহন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে কারখানা ও কারখানার শ্রমিকদের জানমাল ও সম্পদ রক্ষার জন্য ফ্যাক্টরীর নির্বার্হী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিনটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি কারখানার সমুদয় সম্পদ ও বন্যা কবলিত শ্রমিকদেরকে নিম্নোক্ত উপায়ে সাহায্য সহযোগিতা করবে।
• কারখানার সকল সম্পদ নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা।
• ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
• যথাসম্ভব আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করা।
• রোগব্যধি মহামারি আকারে বিস্তার রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।

শ্রমিক অসন্তোষ ঃ
শ্রমিক অসন্তোাষ অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিক আন্দোলনে রুপ নেয় যদি উহা সমাধানে যথা সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। কাজেই অত্র কারখানা খুব গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি অনুধাবন করে। প্রথমে শ্রমিকদের মধ্যে যাতে কোন প্রকার আন্দোলন দানা বাধঁতে না পারে সে জন্য শুরুতেই শ্রমিকদের সমস্যা গুলো অনুধাবন করে এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। শ্রমিকদের অসন্তোষ দানা বেধেঁ ওঠার আগে উহা মিটানোর কল্পে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এর ওয়েল ফেয়ার কমিটি নিয়মিত শ্রমিকদের অসুবিধাগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে। এছাড়া ভিতরের অথবা বাহিরের কোন আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য নিবার্হী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ সমুহ গ্রহন করতে হবে।
• ভিতরের বা বাহিরের আন্দোলনকে স্থিমিত করার জন্য নিয়োজিত সিকিউরিটি সহ স্থানীয় পুলিশ র‌্যারে সহায়তা নেওয়া।
• পরবর্তীতে সমস্যাগুলো অনুধাবন করে উহার সমাধানের জন্য চেষ্টা করা।
• যদি তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান করা সম্ভব না হয় তবে তদন্ত পরিষদের মাধ্যমে সমাধান করা এবং ভবিষ্যতে যাতে এরুপ সমস্যার সন্মুখিন হতে না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ মালা পেশ করা।
• বাহিরের শ্রমিক অসন্তোষ যাতে আভ্যন্তরীন শ্রমিক অসন্তোষে পরিনত না হয় বা বাহিরের শ্রমিক অসন্তোষ বা আন্দোলন ফ্যক্টরীর কোন ক্ষতি করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহিত সুসম্পর্ক বজায় রেখে সার্বক্ষনিক ভাবে যোগাযেগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
রিক্স ম্যানেজমেন্টে বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা
উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট সকল সেকশনে কাপড়ের বর্জ, সুতার বর্জ, মেশিনের বর্জ, ক্যামিকেল বর্জ, ব্যবহৃত নিডল এর বর্জ, নতুন প্যাকেটের এর বর্জ, প্লাষ্টিক/পলিথিন এর বর্জ ইত্যাদি এই নীতিমালার অর্ন্তভূক্ত।
কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্যাদী শ্রেণী বিন্যাশের মাধ্যমে পৃথক করে নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনা কার্যকর করেছেন। কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে একটি কমিটি গঠন করেছেন। উক্ত কমিটির সদস্যগন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দায়বদ্ধ।

উপসংহার ঃ
যেহেতু এই শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে একমাত্র বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে সেহেতু এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিয়ত উন্নতি সাধন করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য। একটি সুন্দর, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
সংগৃহীত

সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা নাকি গার্মেন্টস-এর চাকরিতে ঢুকব…???

প্রশ্ন : আমি একটি জেলা সদরের সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে সরকারি চাকরির চেষ্টা করছি। আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধু একটি গার্মেন্টেস-এ কর্মরত; সে আমাকে ওই গার্মেন্টেস-এ চাকরি শুরু করতে বলছে। সরকারি চাকরিতে আবেদনের নির্ধারিত বয়সসীমা পেরুতে এখনো তিন বছর এক মাস সময় আছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, চেষ্টা করলে সরকারি চাকরি পাবো। কিন্তু বন্ধুর চাপাচাপিতে বুঝতে পারছি না, কী করা উচিত- সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করব নাকি গার্মেন্টেস-এর চাকরিতে ঢুকব?!?

বিক্রয়বন্ধু’র জবাব : সরকারি চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে আপনি যতখানি আত্মবিশ্বাসী, আমি আপনার সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেও ঠিক ততখানিই সন্দিহান! কারণটা খুবই সোজা- অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশে প্রত্যেকদিন কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার শেষ হচ্ছে। লাখ লাখ বেকারের তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন শত শত নতুন মুখ। এর মধ্যে অত্যন্ত মেধাবী ও অতিশয় পরিশ্রমী হাতেগোনা ক’জন মাত্র সরকারি চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পাবেন। আপনি যদি মেধাবী শিক্ষার্থীই হতেন, তাহলে অন্তত কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতেন। সঠিক সময়ে নিজের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে না পেরে জেলা সদরের সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। স্নাতক পাসের পরপরই কেন বিসিএস পরীক্ষা দিলেন না? বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মাস্টার্স পাস কোনো অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করে কি? কারো মিশন যদি হয় সরকারি চাকরি, তাহলে অনেক আগে থেকেই সেইভাবে নিজেকে গড়ে তোলা উচিত। মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে নিজের মেধা ও যোগ্যতা সম্পর্কে আগাম জানান দেওয়া উচিত। ১০০% আত্মবিশ্বাস থাকলে স্নাতক পাসের পরপরই বিসিএস পরীক্ষা দিতেন এবং প্রথম সুযোগেই চাকরি পেয়ে যেতেন। মাস্টার্স পড়ে সময়ক্ষেপণের মানে কী??? বয়স থাকার শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে কেন? আপনি কি জানেন- প্রথম সুযোগেই বিসিএস উত্তীর্ণ হয় প্রায় ৭০% প্রার্থী আর বয়সের শেষ সীমায় পৌঁছে বিসিএস উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৩% প্রার্থী। আশার বাণীর মুলা ঝুলিয়ে বাপের হোটেলে বসে বসে খাওয়ার ধান্দা বাদ দিন। আর সময়ক্ষেপণ না করে আপনার বন্ধুর পরামর্শ মেনে নিয়ে গার্মেন্টেস-এর চাকরিতে ঢুকে যান। নইলে তিন বছরে কেবল পিছিয়েই পড়বেন, লাভের লাভ কিছুই হবে না!

চাকরি ছাড়ার সময় যা করবেনঃ

চাকরি ছাড়ার সময় যা করবেনঃ-

প্রায় প্রতিটি অফিসেই চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন আগে মানবসম্পদ বিভাগকে অবহিত করার নিয়ম চালু থাকে। এ সময় মানবসম্পদ বিভাগ নতুন কর্মী নেওয়াসহ আপনার প্রাপ্য বেতন-বোনাসের হিসাব করার সুযোগ পায়।

আপনার অর্জিত ছুটি আর বেতন-বোনাস-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে এ সময় আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আর মানবসম্পদ বিভাগকে অবহিত করুন।

আর্থিক হিসাবনিকাশের দিকে খেয়াল রাখুন। বিল-বকেয়া কিংবা ছোটখাটো সব আর্থিক হিসাব মিটিয়ে ফেলুন।

আপনার নামে অফিস থেকে বরাদ্দ হওয়া ক্যামেরা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস, গাড়ি-মোটরসাইকেল বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে লিখিত ছাড়পত্র নিয়ে নেবেন।

পুরোনো অফিস থেকে আপনার অব্যাহতিপত্র আর অভিজ্ঞতার সনদ মানবসম্পদ বিভাগ থেকে নিতে ভুলবেন না। ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য অভিজ্ঞতা সনদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়।

অফিসে ব্যবহৃত কম্পিউটার থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি ও ফাইল মুছে ফেলুন। অন্য প্রয়োজনীয় ফাইলসমূহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিন।

আপনার অফিসে ব্যক্তিগত ব্যবহারের বিভিন্ন বস্তু যেমন বই, ছবির ফ্রেম, অ্যাকুরিয়াম কিংবা শখের কলমদানি, মগ, গ্লাস সরিয়ে ফেলুন। অফিসের লাইব্রেরি থেকে বই নিলে তা ফেরত দিন।

চাকরি ছাড়ার শেষ দিন পর্যন্ত অফিসের নিয়মকানুনকে শ্রদ্ধা করুন। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েই প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মী পুরোনো কর্মস্থলে অসৌজন্য ও বিশৃঙ্খল আচরণ করেন।

চাকরি ছাড়ার সময় অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে পুরোনো রাগ-অভিমান কাটিয়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করুন। সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে পুরোনো সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখুন।

সবশেষে, পুরোনো কর্মস্থলের সবাইকে ই-মেইলে কিংবা সরাসরি ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন উদ্যমে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করুন।

যা করবেন না

পুরোনো অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা দলিলপত্র নতুন অফিসে কাজে লাগবে, এমনটা ভেবে নিজের সঙ্গে নেওয়া কখনোই উচিত না।

পুরোনো সহকর্মী কিংবা অফিসের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ কিংবা বাজে আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন।

যে কোম্পানি ছেড়ে যাচ্ছেন সে কোম্পানি বা আপনার সেখানকার বস সম্পর্কে কোনো বাজে কথা বলবেন না। এমনকি আপনার সহকর্মীরা যদি আপনাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসও করে তাহলেও কিছু বলবেন না। কেউ হয়ত জিজ্ঞেস করতে পারে কোম্পানি বা বসের সঙ্গে কোনো ঝগড়া বা দ্বিমতের কারণেই কি আপনি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন? এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলুন, ‘আমি বর্তমান চাকরির চেয়ে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছি যা আমি কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাই না।’

আপনার নতুন কর্মস্থলে চাকরির সুযোগের ব্যাপারে পুরোনো কর্মস্থলের সহকর্মীদের কিছুই বলতে যাবেন না। যদিও আপনার নতুন কর্মস্থলের বস আপনাকে ইতিমধ্যেই সেখানকার লোভনীয় বেতন-বোনাস সম্পর্কে কিছু বলে থাকেন বা আপনার বন্ধুদেরকেও সেখানে নিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহিত করে থাকেন! এ ধরনের কাজ একটু ধৈর্য ধরেই করুন এবং এখনই নতুন কর্মস্থলের জন্য কর্মী নিয়োগের তৎপরতা শুরু করবেন না।

নতুন চাকরি সম্পর্কে পুরোনো সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প অনেক সময় অন্যদের মধ্যে হতাশা তৈরি করে। এ আচরণ থেকে বিরত থাকুন।

নতুন জায়গায় যোগদানের আগের কয়েকটা দিন পুরোনো অফিসে নতুন অফিসের কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকুন।

ফ্রেশার জবের অভিজ্ঞতা পাঁচ পর্বের প্রথম পর্ব

ফ্রেশার জবের অভিজ্ঞতা
পাঁচ পর্বের প্রথম পর্ব

অনেকেই জানার জন্য আমাকে নক করে,ভাইয়া একজন IE ফ্রেশারের কাজ কি?
পাঁচ পর্বের প্রথম পর্ব ফ্রেশার জবে কি কি কাজ করতে হয়,শেয়ার করব।

জবের শুরুতে পরিচিত এবং পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে
(সুপারভাইজার,লাইনচীপ সহ আপনার লাইনের সকল অপারেটর এর নাম মনে রাখতে হবে দ্রুত)

Daily Responsibility
1.Manpower
2.Line balance
3Yesterday production
4.Production bord flow

  1. Input & Balance Check
    6.Total line m/c check
    7.Production study
    8.Next style Start
    *M/C setting
    *Style Change (last day output + new style Out)
    *Capacity
    8.Size set report
    9.Plan Check
    10.Running layout
    11.Next Sample, layout
    12.Output plane
    13.NPT(lose time,Collect time)
    14.Man power
    15.Efficiency
    & Other

সাথে থাকুন
প্রতি সপ্তাহে ধারাবাহিক পর্ব গুলো পাবেন।

গুগলের আরেক বাংলাদেশি প্রকৌশলী

গুগলের আরেক বাংলাদেশি প্রকৌশলী….
ভেবেছিলাম বুয়েটে CSE তে পড়ব।

ওমেকাতে পজিশনও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন কী হলো কয়েকটা অঙ্ক কোনোভাবেই মিলাতে পারলাম না। মনে করেছিলাম হয়তো চান্সই পাব না। রেজাল্টের পর দেখলাম কোনরকমে পেয়েছি, কিন্তু সিরিয়াল অনেক পেছনে। টেনেটুনে মেকানিকাল এ আসে, আরেকদিকে আর্কিটেকচার।

এর মাঝে আবার ঢাকা ভার্সিটির IBA এর BBA তে রিটেনএ টিকলাম। তখন IBA এর গ্রাজুয়েটদের অনেক দাম। ভাবলাম IBA তে হয়ে গেলে সেখানেই পড়ব, কিন্তু কিভাবে যেন সেখানেও ভাইভা তে বাদ পড়ে গেলাম।

তারপর ভাবলাম, আর্কিটেকচারে পড়ে দেশে একটা ফার্ম দিব, Creativity দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব। তাই মেকানিকাল এর এর চেয়ে আর্কিটেকচারই ভালো অপশন। ভর্তি হয়ে গেলাম সেখানেই। বন্ধুবান্ধব, বুয়েটে লাইফ ভালোই চলছিলো, কিন্তু অনেক আগে থেকেই বাইরে পড়তে যাবার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। শুরু করলাম বাইরে অ্যাডমিশন এর চেষ্টার।

অনেকেই বললো এখন গিয়ে কী করবা, বুয়েটে শেষ করে মাস্টার্সএ যাও, Undergraduate এ গেলে নিজে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু তারপরও হাল ছাড়লাম না। গেলাম ঢাকার idp তে, বললাম যে ANU তে নাকি ফুল স্কলারশিপ দেয়, কিভাবে কি করতে হবে? তারা বলল যে ইংলিশ মিডিয়াম হলে লাভ ছিল, বাংলা মিডিয়াম এর A+ এর দাম নাই। তারপরও নিজে থেকেই IELTS দিলাম, ANU তে অ্যাপ্লাই করলাম। কিন্তু লাভ হলোনা, শেষমেশ রিজেক্ট।

অস্ট্রেলিয়া তো আমাকে পাত্তা দিলোনা, ভাবলাম আমেরিকায় চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু সেখানে আবার SAT আর TOEFL ছাড়া কিছু হয়না। সেগুলোও দিলাম। খুঁজে পেতে দেখলাম যে টপ ভার্সিটিগুলো চান্স পেলে financial aid দেয়। তাই ভাবলাম এবার তাহলে MIT তেই যাবো, বুয়েটে, ANU তো আর আমাকে বুঝলো না। 😛 সব ঠিকঠাক করে MIT তে অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিলাম। (যদিও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া এটা কেউ জানতো না)
কিন্তু শেষমেশ এখানেও রিজেক্ট।

এবার ঠিক করলাম জাপানে মনবসু (আসল উচ্চারণ “মনবুকাগাকুশো”) স্কলারশিপে পড়তে যাব। অ্যাপ্লাই করলাম, রিটেনএ টিক লাম, আমাদের ৪ জনকে এম্ব্যাসি থেকে সিলেক্ট করে ভাইভা তে ডাকলো। ভাইভাও খুব ভালো হলো। আমাদের কজনের নাম জাপানের মিনিস্ট্রিতে পাঠালো। কিন্তু এবার কি হলো, বাংলাদেশ থেকে ওরা একজন কেও সিলেক্ট করলো না আর আমার জাপানের সপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।

জাপানি rejection এর কদিনপরে দেখলাম Korean Government Scholarship এর সার্কুলার। এবার ভাবলাম তাহলে কোরিয়াতেই যাই, SNU বা KAIST এ পড়বো, খারাপ কি। আসার আগে অনেকেই বলেছিল, বুয়েট ছেড়ে যাচ্ছ, ঠিক করছো তো? Korean ডিগ্রির আবার দাম আছে নাকি? ওখানে তো মানুষ কুকুরের মাংস খায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে যে যেকোনো গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অনেক গর্বের একটা বিষয়, এখানে একজন স্টুডেন্ট তার দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পারে। এরকম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক না। তাই সবকিছু উপেক্ষা করে বুয়েট ছেড়ে চলে আসলাম South Korea তে পড়তে।

এখানে এসে ১ বছর language course এর পরে বুঝতে পারলাম যে আমি SNU বা KAIST এ পড়তে পারবো না, কারণ আমি ভার্সিটি ট্র্যাকে অ্যাপ্লাই করেছি। যেই ভার্সিটির মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করেছি সেখানেই পড়তে হবে। আর SNU বা KAIST এ পড়ার ইচ্ছাও আমার অপূর্ণই থেকে গেল।

পাস করার আগে/পরে Google, Facebook, Apple, LinkedIn এ অনেক cv জমা দিয়েছি। কিন্তু কোথাও থেকেই কখনো কল পাইনি। মাঝে কল পেয়েছিলাম ThinkCell নামে ছোট একটা জার্মান কোম্পানি থেকে। সেখানে ইন্টারভিউও দিয়েছিলাম। আবারও প্রথম রাউন্ডেই বাদ।

এর পরে একসময় গ্র্যাব থেকে ইন্টারভিউ এর কল পেয়েছিলাম। সেখানেও ইন্টারভিউ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়লাম।

তারপরও হাল ছাড়িনি, চেষ্টা করে গিয়েছি।
প্রথমেই থেমে গেলে হয়তো এতদূর আসা হতো না।

বুয়েট এর CSE কিংবা এমআই টি তে পড়ার সুযোগ হয়তো হয়নি কিন্তু আজ যতদূর আসতে পেরেছি সেটাও বা খারাপ কী?

যেকোনো সাকসেস এর পেছনে এরকম হাজারো ব্যার্থতা থাকবে।

So, don’t let your failures define who you are.

  • Zulkarnine Mahmud (06-08)
    Software Engineer, Google

মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রান হারালেন বিজিএমইএ এবং ইন্টারটেক বাংলাদেশ এর সাবেক কর্মকর্তা এমদাদ-উল-হক।

মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রান হারালেন বিজিএমইএ এবং ইন্টারটেক বাংলাদেশ এর সাবেক কর্মকর্তা এমদাদ-উল-হক।

মাশুক শাহারিয়ার স্বচ্ছ:গতকাল পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রান হারালেন বিজিএমইএ এবং ইন্টারটেক বাংলাদেশ এর সাবেক কর্মকর্তা এমদাদ-উল-হক।

সূত্র থেকে জানা যায় গতকাল গভীর রাতে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় তিনিসহ তার ৩ জন বন্ধু একটি গাড়িতে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।তবে হঠাং করে গাড়িটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি জলাশয়ে পড়ে যায়।

তবে দূর্ধটনার পরে বাকি তিনজন অক্ষত অবস্খায় গাড়ি থেকে বের হতে পারলেও এমদাদ-উল-হক বের হতে পারেননি।দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়ারপর তারা গাড়িসহ এমদাদ-উল-হকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

তার এই অকাল মৃত্যূতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন JobsGtbm

যারা ফ্রেসার তাদের জন্যঃ

যারা ফ্রেসার তাদের জন্যঃ ১. সিভিতে অতিরিক্ত কিছু লেখা থেকে বিরত থাকুন ২. যা জানেন না বা পারেন না তা কখনোই লিখবেন না ৩. পৃথিবীর কোন কিছুই (সাধারনত বেসিক বিষয়) কঠিন না, তাই সেগুলো জানার এবং বুঝার চেষ্টা করুন ৪. সিভিতে বিভিন্ন বা বাহারি রকম ফন্ট ব্যাবহার বন্ধ করুন ৫. বেশি বেশি মোটিভেশনাল স্পিস না শুনে নিজেকে তৈরী করতে বই পড়ুন বা প্রয়োজনীয় বিষয়ে জ্ঞান আহরন করুন ৬. কম্পিউটারের বেসিক প্রোগ্রাম সমুহ অবশ্যই জানতে হবে, না জেনে থাকলে এখন থেকেই রপ্ত করতে শুরু করুন ৭. আজ না কাল থেকে শুরু করবেন এই মনোভাব বদলান কারন সেই কাল আর আসবে না ৮. যতোই সরকারি চাকুরির ইচ্ছে থাকুক না কেন, ৩০ বছর বয়সে এসে আবার যেন কোম্পানির চাকুরি খুজতে না হয় তাই এখনই কোন কোম্পানির চাকুরির জন্য চেষ্টা করুন আর চাকুরির করার সময়ই সরকারি চাকুরির প্রস্তুতি নিন কারন ৯৫% এরই সরকারি চাকুরি হয় না আবার ৩২/৩৫ বছর বয়সে এসে কেউ এন্ট্রি লেভেলে চাকুরিতে নিতে চায় না, আবার দেখবেন সমবয়সী কেউ আপনার বস হয়ে বসে আছে। ৯. মামা-খালু ছাড়াও চাকুরি হয় এই বিষয়টা মাথায় গেথে নিন (নিজের যোগ্যতার উপর ভরশা রাখুন) ১০. কোন কাজেই সট-খাট কোন পথ নাই, কষ্ট করুন ফল পাবেন ১১. যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান ১২. সময়ের সাথে নিজেকে প্রস্তুত করুন, সময়ের থেকে পিছিয়ে গেলেন তো জীবন থেকেও পিছিয়ে গেলেন ১৩. কারো দোষ গুন বিচার না করে নিজের কাজ নিজে করতে থাকুন চলবে………. লেখকঃ শেখ মুজাহি প্রধান, মানব সম্পদ বিভাগ ক্লার্ক এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড ঢাকা, বাংলাদেশ

একজন Merchandiser / Fresh Merchandiser / asst.manager এর interview এর নমুনা

1.কেমন আছেন

2.কোথায় আছেন

3.সেটা কি knit না Woven

4.আপনি আপনার সম্পর্কে কিছু বলেন .

5.আপনি যে ইউনিভার্সিটি থেকে Bsc করেছেন তাদের রিপুটেশন তো ভালো না .এরা Certificate বিক্রি করে .আপনি কি কিনেছেন না পড়ে পাস করেছেন?
.
6.তাহলে বলেন তো আপনার BSC তে কয় ক্রেডিট .মানে টোটাল কয়টা ক্রেডিট .

7.Merchandising এ কত দিন আছেন.
.
8.এখন পর্যন্ত কোনো Buyer সরাসরি drill করেছেন কি .

9.আমরা যদি আপনাকে নিয়োগ দেই , আপনার face দেখে কোনো Buyer আসবে কি .আমাদের কোম্পানিতে .

10.TNA সমন্ধে কোনো আইডিয়া আছে .

11.Qty- 20000 পিস্ . LC ওপেন Date 20-6-2019 lead time .45 Days .আপনি এইটার একটা TNA den দেখি .

12.কত count এর yarn দিয়ে কতGSM হয় জানেন কি .

13.আপনি ফ্যাব্রিক চিনেন .Card এবং comb কি
single Jersey 160 Gsm .5% Lycra .95 polyster koto count এর yarn lagbe . এই ফ্যাব্রিক বানাতে .

14.fabric এর process loss কি কোন কালারের কত % প্রসেস loss হয় ???

15.sewing thread conjumption জানেন /sewing theead কত প্রকার .

16.sample কত প্রকার ও কিকি .

17.Order confirm হবার পর Buyer কে, কিকি Sample পাঠাতে হয় .

18.Order confirmed হবার পর Knitting শুরু করার আগে Buying house থেকে কিকি পারমিশন নিতে হয় .

19.ফ্যাব্রিকের কিকি Test report Buyer এর কাছে submit করতে হয় .

20.আপনি কি Accessories layout বুজেন

21.PO/pI কি ???

22.আপনি কি accessories বুকিং দিতে পারেন .

23.CTN measurement বের করতে পারেন ./CBM বের করতে পারেন .
24.Gsm -160 fabric with- 60 inch. Fabric length-120 inch.apni yards theke KG তে convert করেন .

25.আবার এটাকে Kg থেকে yards এ converted করেন .

26.production শুরু থেকে closed পযন্ত Buyer কে কি কি
sample দিতে হয় তার নাম বলেন .এবং কখন কিভাবে দিতে হয় তা বর্ণনা করেন .

27.কয়েক টা Test এর নাম বলেন এবং এগুলার কাজ কি বর্ণনা করেন .

28.print strike of কি এর layout সম্পর্কে কিছু বলেন .

29.embodreiry এর stitch সম্পর্কে কোনো আইডিয়া আছে .

30.wash কত প্রকার কি কি বলতে পারবেন .

31.শিপমেন্ট date over হয়ে গিয়েছে .One week extension কিভাবে চাইবেন লিখে দেখান .

32.আপনি কি LG/ IO/LC/C/O বুজেন কোনটার কি কাজ .

33.আরো তো অনেকে interview দিতে এসেছে তাদের থেকে কোনো আমরা আপনাকে নির্বাচন করবো বলেন .

34.যেখানে আছেন ওখান থেকে আসতে চাচ্ছেন কেন .

35.ওদের চাইতে তো আমাদের এখানে বেতন আরো কম .তো কি করবেন ???

36.ওকে ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে আমরা আপনার সাথে জোগাজোগ করবো best of luck


Note:: আরো অনেক প্রশ্ন করতে পারে .এই পদের জন্য Textile background/ এবং জেনারেল সবাই apply করতে পারে.

লিখেছেনঃ
হাসান শাহারিয়ার মেহেদী ভাই

চাকরিজীবী নাকি উদ্যোক্তা?

চাকরি শেষে কর্মজীবনের শুরুটা সবার জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। কারণ ক্যারিয়ার কেমন হবে কিংবা কোন পথে যাবে, তা এই সময়ের একটি সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করে থাকে। ফলে বুঝতেই পারছেন এই সময়ের একটি সিদ্ধান্ত কতটা গুরুত্ব বহন করে। শুধু এ সময়েই নয়, অনেকে আবার চাকরির মাঝপথে হুট করেই চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে নিজের একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করেন।
ক্যারিয়ার হিসেবে অনেকেই বেছে নেয় পছন্দসই একটি চাকরি। যে বিষয়ে পড়ালেখা করেছে, সে বিষয়ে একটি চাকরি জোগাড় করতেই অধিকাংশ সময়ে ব্যয় করে শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর কাছেই মনে হয় একটি চাকরি মানেই নিশ্চিত ক্যারিয়ার। মাস শেষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ হাতে পাওয়া এবং নিশ্চিন্ত জীবনযাপন।
অন্যদিকে যারা একটু সাহসী, চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন, তাদের চিন্তাভাবনা থাকে কিছুটা ভিন্ন ধরনের। তারা বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন। যদিও ব্যবসায়িক উদ্যোগে অনেক ঝক্কিঝামেলা থাকে, কিন্তু তাতেও তারা দমে যান না।
কিন্তু আপনার কোন পথে যাওয়া উচিত্?
অন্যের প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করে নিজের প্রতিষ্ঠানে নিজে কাজ করার মানে হলো নিজের ক্ষমতায়ন করা। চাকরি করলে আয় সীমিত, কিন্তু নিজের একটি উদ্যোগ থাকলে সেখানে আয়ের সম্ভাবনা থাকে বিপুল। আপনার যখন ইচ্ছা তখন আপনি অফিসে গেলেও আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে না। তবে আপনি যদি অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তখন ঘড়ির কাঁটা ধরে আপনাকে অফিসে হাজির হতে হবে। এদিক সেদিক হলে আবার চাকরিটাই না চলে যায়। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি যখন অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন, তখন আপনাকে কাজটা করতে হবে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে, তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য। কিন্তু সেই সুযোগটি ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে আপনি নিজের স্বপ্ন নিজেই বাস্তবায়ন করতে পারবেন। আর এ জন্য শুধু দরকার উদ্যোক্তা হওয়ার মতো সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং ঝুঁকি নেওয়ার মতো প্রবল ইচ্ছা।
চাকরি করার মানে হলো সারাদিনের অফিস শেষে বাসায় গিয়ে সবার সাথে সময় কাটানো কিংবা মনের সুখে গেমিং কনসোল নিয়ে গেম খেলতে শুরু করা। তবে আপনি যদি উদ্যোক্তা হন, তাহলে এই সময়টুকুও হয়তো মিলবে না। কারণ তখন তো আর ঘড়ি ধরে কাজ করার উপায় থাকবে না। কাজটা যে করতে হবে নিজের জন্য, নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। আর তখন ছুটির দিন বলতে কিছু থাকবে না, তা তো আগে থেকেই অনুমেয়। কারণ ঘুমের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময়ের পুরোটা জুড়েই আপনার মাথায় নিজের প্রতিষ্ঠান ঘিরেই কিছু ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকবে। আর তা হলো কীভাবে বিক্রি আরও বাড়ানো যেতে পারে, কীভাবে আয় বাড়বে, কী করলে ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত হবে। মজার ব্যাপার হলো, আপনি যদি চাকরি করেন, তখন আপনার মাথায় এসব ভাবনা না থাকলেও আপনার বস কিন্তু তখন ঠিক এই চিন্তাগুলোই করছেন।
এ বিষয়ে ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা ও পরামর্শক অ্যালেক্স পাইরৌজ লিঙ্কডইনে লিখেছেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি দেখেছি যে নিজের ব্যবসা চালানোর কাজটি অনেক কঠিন যেখানে অন্যের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কিন্তু খুবই সহজ। তবে বিভিন্ন স্টার্টআপগুলো কিন্তু তার উল্টো চিন্তা করে। আপনি যদি মনে করেন যে অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করাই আপনার জন্য কঠিন কাজ, তাহলে আপনি নিজের স্টার্টআপ চালু করার জন্য ভাবতে পারেন। তবে এর আগে আপনাকে খুব ভালো করে জানতে হবে একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে চালাতে হয়। এ বিষয়ে সফল ব্যক্তিদের অনেক বই রয়েছে, সাক্ষাত্কার রয়েছে। সেগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং এরপর ভেবে দেখুন আপনাকে দিয়ে হবে কি না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিন গ্রুপের নাম অনেকেই শুনেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনের কারিগর রিচার্ড ব্রানসন। তিনি একবার তার ব্লগে লিখেছেন, ‘চাকরি ছেড়ে নিজের উদ্যোগ শুরু করাটা অনেকের কাছেই বেশ কঠিন। তবে কিছু কিছু উদ্যোক্তা আছেন যাদের জন্মসূত্রে উদ্যোক্তা বলা যেতে পারে।’ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তারা যেকোনো সময় নিজের ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত থাকেন। অনেকেই আবার বেশ চাপা স্বভাবের হয়ে থাকেন যাদের এই কাজের জন্য অন্যদের ধাক্কার প্রয়োজন হয়।’
সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে
এখানে মজার একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ইনোসেন্ট ড্রিঙ্কস নামের একটি পানীয় উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বের নামকরা সব বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে। তাদের শুরুটাও ছিল বেশ ব্যতিক্রমী উপায়ে। ঘটনাটি শোনা যাক প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড রীডের মুখ থেকেই- ‘১৯৯৯ সালের কোনো এক ছুটির দিনে আমরা তিনজন গেলাম একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যালে, নিজেদের তৈরি কিছু স্মুদি বিক্রি করার জন্য। সেখানে আমরা একটি বড় সাইনবোর্ড লাগালাম যাতে লেখা ছিল চাকরি ছেড়ে স্মুদি তৈরির কাজে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত্ হবে কি না। এর নিচে ছিল দুটি ঝুড়ি যার একটির গায়ে লেখা ছিল ‘হ্যাঁ’ এবং অপরটির গায়ে লেখা ছিল ‘না’। আমি ক্রেতাদের বললাম স্মুদি খাওয়া শেষে তাদের খালি কাপ ব্যবহার করে ভোট দিতে। দিন শেষে দেখা গেল ‘হ্যাঁ’ লেখা ঝুড়িটি একেবারে পূর্ণ ছিল। আর আমরা তিন বন্ধু পরের দিনই চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় মনোযোগ দিলাম।’
এবার আপনার পালা। চাকরি করবেন না চাকরি দেবেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিন। প্রথমেই চিন্তা করুন আপনি যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করবেন, তা নিয়ে আপনি কি উত্সাহী? দ্বিতীয়ত, আপনি ঝুঁকি নিতে কতটা প্রস্তুত আছেন? তৃতীয়ত, আপনি কি সিদ্ধান্ত নিতে পটু? চতুর্থত, আপনি কি অনেকগুলো দায়িত্ব একসাথে পালন করতে পারবেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারে, তাহলে নিজের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করার মতো মানসিক প্রস্তুতি আপনার রয়েছে। এবার শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা।



সূত্র—ইত্তেফাক
Design a site like this with WordPress.com
Get started